মেহের নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, সোমবার ইরাকি রাজনৈতিক বিশ্লেষক মোহাম্মদ আলী বলেছেন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনা শুরু করার আগে ইরান পারমাণবিক চুক্তি বাস্তবায়নে গ্যারান্টি চেয়েছিল। ইরানি পক্ষ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পরোক্ষ আলোচনার প্রথম ধাপকে ইতিবাচক এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার পরিবেশ বজায় ছিল বলে জানিয়েছে।
ইরাকি বিশ্লেষক আরও বলেন যে, এই আলোচনায় ইরানি আলোচক দলের পক্ষ থেকে কোনও ছাড় দেওয়া হয়নি, যদিও এই অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়ানোর জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে অজুহাত রয়েছে, তবে ইরানেরও নিজস্ব প্রভাব বা শক্তি রয়েছে। এই কারণে, তেহরান নিশ্চিত ছিল যে ইহুদিবাদী ইসরাইলের যেকোনো হামলার পাল্টা প্রতিশোধ নেওয়ার ঝুঁকির কথা ভেবেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সাথে আলোচনায় বসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনায় ইরানের প্রাধান্য রয়েছে; কিছু দাবি থেকে ওয়াশিংটন পিছু হটেছে
লেবাননের আল-মায়াদিন নিউজ ওয়েবসাইট শনিবার আম্মানে ইরান-মার্কিন পারমাণবিক আলোচনা সম্পর্কে একটি প্রতিবেদনে লিখেছে: তেহরান বর্তমানে পারমাণবিক ক্ষেত্রে উচ্চতর অবস্থানে রয়েছে এবং তার পারমাণবিক কর্মসূচি থামিয়ে দেয়ার যেকোনো আবদার প্রত্যাখ্যান করেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে ইরানিরা বেশ কয়েকটি কারণে আলোচনার টেবিলে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। প্রথমত, আলোচনার ফলে দেশটির উপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে এবং দ্বিতীয়ত, তেহরান এই অঞ্চলে তার কৌশল পুনর্গঠনের জন্য যথেষ্ট সময় পাবে। ইরান মার্কিন রাজনৈতিক ব্ল্যাকমেইলেরও বিরোধিতা করেছে।
আল-মায়াদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান বর্তমানে পারমাণবিক ক্ষেত্রে একটি উচ্চতর অবস্থানে রয়েছে এবং তার পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করার যেকোনো পদক্ষেপ শক্তভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। বিপরীতে; মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও ঘোষণা করেছেন যে তিনি কেবল ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের বিরোধী তবে দেশটির শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন করেন। যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানে এই পরিবর্তনকে তাদের আগের নীতি থেকে সরে আসার প্রমাণ বলে মনে করা হচ্ছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা বারবার ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি পুরোপুরি বন্ধ করার যে দাবি জানিয়ে আসছিল এখন সেই অবস্থানের পরিবর্তন ঘটেছে। তাই, এটা স্পষ্ট যে ইরানের সাথে আলোচনায় ওয়াশিংটন তার কিছু অতিরিক্ত দাবি ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে।
342/
Your Comment